একনজরে

10/recent/ticker-posts

Cycle friendly cities বিশ্বের সেরা ১০ সাইকেল-বান্ধব শহর,প্রথম স্থানে ডাচ শহর ইউট্রাক্ট


সাইকেল চালানোর জন্য বিশ্বের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে নয়টিই ইউরোপে।


খোশখবর ডেস্কঃ প্রকৃতিবিদরা বলেন সাইকেলের চেয়ে ভাল যান আর দুটি নেই।পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি মানুষের সুস্বাস্থের লক্ষ্যেও এর জুড়ি মেলা ভার।কার্বন নিঃসরণ কমানো যে কতটা জরুরি তা ক্রমেই বুঝতে পারছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।তাই ইউরোপ থেকে এশিয়া,অস্ট্রেলিয়া থেকে আমেরিকা সর্বত্রই ফের বাড়ছে জ্বালানি খরচ হীন সাইকেলের ব্যবহার। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সাইকেল-বান্ধব শহর কোনটি তার তালিকা। গ্লোবাল সাইকেল সিটি ইনডেক্স অনুসারে এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইউরোপ। সাইকেল চালানোর জন্য বিশ্বের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে নয়টিই ইউরোপে।আর এই সব শহরের মধ্যে প্রথমেই নাম আছে ডাচ শহর ইউট্রাক্টের।

ডিজিটাল বিমা কোম্পানি লুকো সারা বিশ্বে ছটি প্রধান প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে ৯০টি শহরের একটি তালিকা তৈরি করেছে।তবে এই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শহর শীর্ষ ১০, এমনকি শীর্ষ ২০-র মধ্যেও জায়গা করে নিতে পারে নি।তবে তালিকায় ৫০-এর মধ্যে আছে সান ফ্রান্সিসকো (৩৯তম স্থানে), পোর্টল্যান্ড (৪১), সিয়াটেল (৫০)।ভারতের একমাত্র শহর হিসেবে নয়া দিল্লির নাম আছে ৭৯ তম স্থানে।

সাইকেল চালানোর উপযোগী বিশ্বের সেরা ১০টি শহর

১০. হ্যানোভার, জার্মানি

লোয়ার স্যাক্সনিতে অবস্থিত জার্মানির এই শহরের মাঝে আছে চমৎকার সব পার্ক।সাইকেল নিয়েই ঘুরে দেখা যায় সেগুলো।শহরের নানা পরিকাঠামোর উন্নতি এবং নিয়মিত সাইকেল চালানোর প্রচারমূলক নানা ইভেন্ট হয় এই শহরে।

৯. ব্রেমেন, জার্মানি

ব্রেমেন হল জার্মানির সাইকেল প্রেমীদের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় শহর।এখানকার সমতল ভূখণ্ড জুড়ে তৈরি করা হয়েছে সাইকেল পাথ - যা শহরকে অতিক্রম করে জুড়ে দিয়েছে অন্যান্য শহরগুলোকেও। ব্রেমেন হল প্রথম জার্মান শহর যেখানে একটি সম্পূর্ণ ‘বাইসাইকেল জোন’- তৈরি করা হয়েছে।আর এখানে সাইকেল চালালে সর্বোচ্চ গতি তোলা যাবে ৩০ কিমি/ঘন্টা।

৮. বার্ন, সুইজারল্যান্ড

মানসম্পন্ন সাইকেল চালানোর পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে এই সুইস ক্যাপিটাল।শহরে সাইওকেল ছাড়া আর কোনও গাড়ি চলবে না আছে তেমন দিনও।শহরের সাইকেল চালকদের মধ্যে মৃত্যুর হারও খুব কম।

৭. হ্যাংজু, চিন

সাইকেল চালানোর জন্য বিশ্বের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে একমাত্র নন-ইউরোপীয় শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে চিনের হ্যাংজু।এখানকার জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই সাইকেল নির্ভর জীবনযাপন করে।


৬. মালমো, সুইডেন


সুইডিশ শহর মালমোতে সাইকেল চালকদের মৃত্যুর হার অনেক কম।সাইকেল চালাতে মানসম্পন্ন পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি করা হয় সাইকেল নিয়ে নিয়মিত ইভেন্টও।

আরও পড়ুনঃ আছে আলাদা পথ,জানুন সাইকেল কতটা ভালবাসে আমস্টারডাম!


৫. আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস

সাইকেলের জন্য আমস্টারডামের সুখ্যাতি অনেক।একটা সময় এই শহরকেই বিশ্বের সাইকেল রাজধানী বলা হত। কিন্তু তা কেড়ে নিয়েছে শহরের বড় বেশী দুর্ঘটনা। আমস্টারডামে প্রতি ১০০,০০০ সাইকেল চালকের মধ্যে ১০০০ জনের বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন - তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোপেনহেগেনের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি।

৪. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক

সাইকেল চালকদের জন্য এই ডেনিশ রাজধানী শুধু নিরাপদই নয় এখানে সাইকেল চুরির হারও অনেক কম। আছে “নো কার ডে”র বন্দোবস্ত। সাইকেল চালানোর পরিকাঠামোতে তৈরিতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে এই নগর প্রশাসন। কঠিন ডেনিশ শীতকালেও কাজ করতে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে মানুষ।

৩. এন্টওয়ার্প, বেলজিয়াম

বেলজিয়ামের বন্দর শহর এন্টওয়ার্পে আছে ডেডিকেটেড সাইকেল পাথ।সাইকেল চালানোকে জনপ্রিয় করতে নানা ইভেন্টের পাশাপাশি আছে " গাড়ি-মুক্ত রবিবার"।

২. মুনস্টার, জার্মানি

এই শহরের ৩৯ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা প্রতিদিন সাইকেল ব্যবহার করেন। মুনস্টার শহরে নিয়মিত সাইকেল চালানোকে জনপ্রিয় করতে নানা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।বহু মানুষ সাইকেল ব্যবহার করলেও মৃত্যুর হার অনেক কম।



১. ইউট্রাক্ট, নেদারল্যান্ডস

ছটি প্রধান প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে সাইকেলের জন্য সেরা শহর হিসেবে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে তার প্রথম স্থানে আছে নেদারল্যান্ডসের ইউট্রাক্ট।এই শহরের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা (৫১ শতাংশ) দৈনন্দিন জীবনে সাইকেল ব্যবহার করে।সাইকেল চালানোর জন্য অসাধারণ পরিকাঠামোর পাশাপাশি এই শহরের আবহাওয়াও দারুণ।



তথ্যসূত্রঃ euronews.com
ছবিঃ
  পিক্সাবে 

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ