একনজরে

10/recent/ticker-posts

benefits of black plum শুধু হজমশক্তি বাড়ায় না,কালো জামের নানা উপকার জানলে চমকে যাবেন।



শুধু হজম নয়, যাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।

খোশখবর ডেস্কঃ গরমকাল এলেই আম,জামরুল,কাঁঠালের সঙ্গে হাজির হয় কালো জাম।এই জামের স্বাদ কিছুটা কষা হলেও শাঁসালো পাকা অবস্থায় এই ফল খুবই সুস্বাদু।জাম গাছ চিরসবুজ উদ্ভিদ।এই গাছ ৬৫ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। আম পাকার সময়েই পাকে কালো জাম।মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এই ফল। হজমের কথা ভেবে অনেকেই কালো জাম খান।তবে শুধু হজম নয়, যাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।শুধু ফলই নয় এর বীজ, ছাল এবং পাতা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।



কী কী উপকার মেলে কালো জামে

১. জাম ফ্ল্যাভোনয়েড ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল।এর ফল, বীজ ও ছাল – কালো জামের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়।জামে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।ফলে এই ফল খেলে দাঁত মজবুত হয়, মাঢ়ি শক্ত হয়।জামের বীজগুঁড়ো দাঁতের গোড়া ও মাড়ি শক্ত করে।এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

২. ডায়েটি ফাইবারের উৎস কাল জাম,এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।লিভারকে সক্রিয় করে।জামের বীজ পুরাতন পাতলা পায়খানা, ধাতু দুর্বলতা ও বহুমূত্র রোগের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি।

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কালোজাম।ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এই ফল খুবই উপকারী।এতে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রোপার্টি যা স্টার্চ ও চিনিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে শক্তির যোগান দেয়। তাই ডায়াবেটিকদের প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা৷

৪. তবে কালোজামের শাঁসের থেকে কালোজামের বীচি অনেক বেশি উপকারি বলে মনে করা হয়। কালোজামের বীজে থাকে জাম্বোলিন৷ জামের বীজ ৩০%-এর বেশি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে বলে জানা গেছে।



৫. ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি৷ সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে কিডনির সমস্যার সম্ভাবনাও৷ জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃৎপিণ্ড ভাল রাখে।তাই সুস্থ থাকতে কালো জামের জবাব নেই।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ