একনজরে

10/recent/ticker-posts

SUPER FOOD CARROT শুধু হালুয়া নয়,সুস্বাস্থ্যের খোঁজেও খান মিরাকেল দেখানো গাজর


গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। নানা রোগ থেকে মুক্তির সেরা সব্জি গাজর। অকালবার্ধক্য রুখতে সাহায্য করে গাজর।

খোশখবর ডেস্কঃ গাজর শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। কাঁচা হোক বা রান্না,স্যালাড হোক বা হালুয়া সবেতেই এর দারুন কদর।গাজর স্বাদে অত্যন্ত সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং আঁশওয়ালা মূল জাতীয় সবজি। গাজর অতি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি। এতে উচ্চমানের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। বিটা ক্যারোটিনয়েডস জাতীয় তীব্র শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গাজর বহু রোগের মোকাবিলায় সাহায্য করে। ভিটামিনস, মিনারেলস এবং বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এর উৎকৃষ্ট উৎস গাজরকে এক কথায় মিরাক্যাল ফুড বলা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি গাজর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে কাঁচা গাজর খাওয়াই ভাল। গাজরের জুস বানিয়ে খাওয়াকে তাই অনেকে গুরুত্ব দেন বেশী। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন গাজরের উপকারের যেন শেষ নেই।



গাজর খেলে কী কী উপকার হয়

• দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে- শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বা চোখ ভাল রাখতে অল্প বয়স থেকেই নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

• গাজর রক্তে দ্রুত শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না, কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সল্যুবল ফাইবার বা পেকটিন থাকে। তাই ডায়াবেটিকরাও ডায়েটের সঙ্গে ২৫-৩০ গ্রাম গাজর খেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ আমলকি কেন অমৃত ফল? জেনে নিন এর হাজারো উপকার

• গাজর রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাশে এবং স্ট্রোক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কম রাখতে সাহায্য করে।

• গাজর সেদ্ধ করে পুলটিস বাঁধলে ক্ষত, ফোঁড়া আর ঘা সেরে যায়।


• দাঁতের সমস্যায় কাজ দেয় গাজর। নিয়মিত অল্প পরিমাণে গাজর চিবিয়ে খেলে ডেন্টাল প্লাকস ও ক্যাভিটির আশঙ্কা কম থাকে।

• স্টম্যাক, ব্রেস্ট, কোলন ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে গাজর। লো ক্যালরির ডায়েটে গাজর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

• গাজরের ভিটামিনস, মিনারেলস ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস বিভিন্ন অসুখ বিসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে গাজর। ত্বককে উজ্জ্বল, টানটান করে তুলতে গাজর ভাল কাজ করে।



আপনাকে সুস্থ রাখবে গাজর

(ক) গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। এই ভিটামিন 'এ'-র অভাবে শরীরের বৃদ্ধি থেমে যায়—শারীরিক ক্ষমতা কমে যায়। খাদ্য দ্রব্য হজম হতে অনেক দেরি লাগে, চামড়া খসখসে হয়ে যায়—ত্বকের রোগ দেখা দেয়।

(খ) গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় আর ওজন বাড়ে।

(গ) শিশুদের গাজরের রস খাওয়ালে দাঁত বেরোতে কোনো কষ্ট হয় না আর দুধও ঠিক মতো হজম হয়। মস্তিষ্কের পক্ষেও গাজর ভাল।



(চ) বলা হয় যে গাজর খেলে রং ফরসা হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে। কারণ গাজরে আছে রক্ত পরিষ্কার করবার গুণ।

আরও পড়ুনঃ দিনের শেষে সময় মত ঘুমের দেশে যাচ্ছেন তো!

(ঘ) অর্শ, ক্ষয়রোগ, পিত্ত রোগে গাজর খেলে সুফল পাওয়া যায়।

(ঙ) শরীরের পুষ্টি এবং বৃদ্ধিও বিকাশের জন্যে গাজর খাওয়া খুবই প্রয়োজন।

তবে যে কোনও সব্জির মতই রান্নার আগে গাজর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান তাঁদের গাজরের রস খাওয়ায় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। 

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে  পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক,উইকিমিডিয়া কমন্স,গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]  

[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বইলাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে  জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ