একনজরে

10/recent/ticker-posts

আপনার অজান্তেই কি খাচ্ছেন ‘জি এম’ ফুড। ব্যাপারটা জানেন কী?


খোশখবর ডেস্কঃ ‘জিএম’ ফুড মানে জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফুড বা খাবার। প্রকৃতিগত ভাবে যে শস্য তৈরি হয় তাতে জিনগত পরিবর্তন হয় স্বাভাবিক ছন্দে ও নিয়মে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন পরীক্ষাগারেই উদ্ভিদ জগতের জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে, নানা জাতের শস্য ফলাচ্ছেন। এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে বিজ্ঞানী মহলে। একদলের আশঙ্কা প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এই ধরণের জিনগত পরিবর্তনের খাবার মানুষ সহ অনান্য প্রাণীদেহে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করবে। একদল বিজ্ঞানীর মতে সঠিক পরীক্ষা না হলে এই প্রভাবের ক্ষতিকর দিকটা নিয়ে জোরগলায় কিছু বলা সম্ভব নয়। তবুও ‘জিএম’ ফুডের ক্ষেত্রে তা প্যাকেটের গায়ে লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভারতে ফুড সেফটি আইন অনুসারে ‘জিএম’ ফসল বা ফুড তৈরি করা, বিক্রি করা বা আমদানি করা নিষিদ্ধ। অথচ সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)-এর একটি পরীক্ষায় তাদের নেওয়া ৬৫টি প্যাকেটজাত দ্রব্যের ৩২ শতাংশতেই ‘জিএম’ জিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আবার এর আশি শতাংশ ব্র্যান্ডই ভারতে আসছে আমদানীর মাধ্যমে। এর মধ্যে কৌটো বা প্যাকেটজাত

সোয়াবিন, ভূট্টা, রেপসিড তেল, সিরাপ যেমন আছে তেমনই আছে শিশুর জন্য পুষ্টিকর বলে ঘোষিত খাদ্যও। প্রশ্নটা এখানেই। সিএসই দিল্লি, পঞ্জাব এবং গুজরাট থেকে সংগ্রহ করেছে এই সব প্যাকেটজাত খাবার। যদিও এদের বাজার গোটা ভারতেই। আর প্রশ্নটা এখানেই। আপনার অজান্তেই, ইচ্ছের বিরুদ্ধেই খেয়ে ফেলছেন না তো ‘জিএম’ ফুড?

 তথ্যসংগ্রহডাউন টু আর্থ, -১৫ অগাস্ট, ২০১৮

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ